শিরোনাম
Jahangir Alam babu | ০৩:০৯ পিএম, ২০২০-০৫-২৩
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ঈদের দু’দিন আগে সারাদেশে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে ঈদযাত্রার অনুমতি দেয়াকে সরকারের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে দাবী করেছেন যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। ঈদুল ফিতরের ঈদযাত্রা ঠেকাতে না পারায় বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়ানো করোনা প্রতিরোধে ও ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রনেও সরকার ব্যর্থ হবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। আজ ২৩ মে শনিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবী জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়ানো করোনা প্রতিরোধের জন্য এবারের ঈদুল ফিতরের ঈদযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা ঘোষনা করেছিল সরকার। ক'দিন আগে ঈদে কঠোরভাবে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছিলেন পুলিশ প্রধান। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে ঈদের দু’দিন আগে সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ রেখে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে ঈদযাত্রার অনুমতি দেয় সরকার। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণীর প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের মালিক অতিরিক্ত মুনাফা আদায়ের জন্য গাড়ী রির্জাভ দেখিয়ে ভাড়ায় চলাচলের অনুমতি দেয়। এতে মানা হচ্ছে না কোন স্বাস্থ্যবিধি। হাঁকডাক দিয়ে সারাদেশে সড়ক মহাসড়কে গাদাগাদি করে যাত্রী উঠা নামা করছে এই ব্যক্তিগত পরিবহন গুলো। এদিকে সারাদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলছে। প্রতিদিন লাশের মিছিলে যোগ হচ্ছে বেশ কিছু মানুষ। শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী ও দৌলোদিয়া-পাটুরিয়া ফেরী ঘাটে জীবনের ঝুৃঁকি নিয়ে পারাপার করছে সাধারণ মানুষ।
বিজ্ঞপ্তিতে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী বলেন, বিশ্বজুড়ে করোনার মহামারিতে যেভাবে ঈদের আমেজ নিয়ে সাধারণ যাত্রীগণ প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে গাদাগাদি করে বাড়ি ছুটছে। এতে শতভাগ করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি রয়েছে। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ঈদের আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুরপাল্লার বাস চলাচলের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেছিলাম । কিন্তু সরকার এবারের ঈদযাত্রাকে নিষেধাজ্ঞা ঘোষনা করেছিলেন। কিন্তু এখন সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। এবারের ঈদযাত্রা অনান্য সময়ের মতো ঈদের আমেজ না থাকলেও এক শ্রেণির মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ভ্রমন করতে হচ্ছে।
যদি শর্তসাপেক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারীতে সীমিত আকারে আন্তজেলা বাস চলাচলের অনুমতি দেওয়া হতো তাহলে করোনা সংক্রমনের হাত থেকে কিছুটা হলেও জনগণকে রক্ষা করা যেত। কিন্তু এখন যেভাবে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে গাদাগাদি করে ঈদ যাত্রা চলছে, আমি মনে করি সারাদেশে বিপুল ভাবে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে।
তিনি আরো বলেন, মুনাফার লোভে এক শ্রেণীর প্রাইভেট গাড়ী ও মোটরসাইকেল ভাড়ায় এক জেলা থেকে অন্যজেলায় যাতায়াত করছে, এইসব চালকরা সড়ক মহাসড়কের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবগত না থাকায় ও অতিরিক্ত ট্রিপ দেওয়ার আশায় বেপরোয়া চলাচলের করনে সড়ক দুর্ঘটনার আশংখাও রয়েছে। এবারের ঈদ যাত্রায় বাড়ী যাওয়া ও ঈদ ফেরত যাত্রীদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার দাবীও করেছে সংগঠনটি।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.
পাবলিক মতামত